Bangladesh Nationalist Party বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল

28/1, Naya Paltan, Bangali, 1000
Bangladesh Nationalist Party বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল Bangladesh Nationalist Party বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল is one of the popular Political Organization located in 28/1, Naya Paltan ,Bangali listed under Political organization in Bangali , Business Center in Bangali ,

Contact Details & Working Hours

More about Bangladesh Nationalist Party বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল

বিএনপি
বাংলাদেশের একটি অন্যতম রাজনৈতিক দল। ইংরেজি Bangladesh Nationalist Party এর সংক্ষিপ্ত রূপ হলো BNP। বাংলাতে এই দলটি ইংরেজি সংক্ষিপ্ত নামানুসারে 'বিএনপি' এবং এই নামেই সর্বাধিক পরিচিত। দলটির পূর্ণাঙ্গ বাংলা নাম বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। এই দলটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান।

বিএনপি প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট
১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ই আগষ্টে একটি সামরিক অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান নিহত হন। এরপর ধারাবাহিক সামরিক অভ্যুত্থান এবং পাল্টা-অভ্যুত্থান সংগঠিত হতে থাকে। এই বৎসরের ৭ই নভেম্বর এই ধারাবাহিক অভ্যুত্থানের অবসান হয় এবং জিয়াউর রহমান ক্ষমতা লাভ করেন। সামরিক শাসনের অধীনে তিনি দেশের সর্বময় ক্ষমতার অধিকার লাভ করেন। ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৯শে নভেম্বর তিনি প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হন।

১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত সায়েমকে অপসারণ করার পর, ২১শে এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসাবে জিয়াউর রহমান শপথ গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন সময়ে, পূর্ববর্তী 'বাকশাল'-ই প্রথা বিলোপ করে, দেশে আবার গণতন্ত্রায়ণের উদ্যোগ নেন এবং তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র চালুর সিদ্ধান্ত নেন। প্রাথমিকভাবে জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩রা জুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন দেন এবং জয়লাভ করেন। ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি তাঁর সামরিক সরকারের উপরাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে প্রধান করে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) প্রতিষ্ঠা করেন। ছয়টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় ফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই নির্বাচনে তিনি ৭৬.৬৭% ভোট পেয়ে বিজয়ী হন এবং রাষ্ট্রপতির পদে নিয়োজিত থাকেন।

১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের ১লা সেপ্টেম্বর তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। এই দলের সমন্বয়ক ছিলেন তিনি নিজে এবং তিনি এই দলের প্রথম চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। আর অধ্যাপক এ. কিউ. এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী এই দলের প্রথম মহাসচিব ছিলেন। ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৮শে আগস্ট পূর্বগঠিত জাগদলের বর্ধিত সভায় ওই দলটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় এবং জাগদলের সকল সদস্যদের বিএনপির অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

বিএনপি-র অগ্রযাত্রা
১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই নভেম্বর থেকে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন এবং সামরিক শাসনের ক্রম-শৈথিল্য অনুসরণে ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকেন। ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে সামরিক আইনের অধীনেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে বিএনপি ৩০০টি আসনের ভিতরে ২০৭টি আসন লাভ করে। এই বৎসরের ১লা এপ্রিলে সামরিক শাসনের ভিতরেই প্রথম সংসদ অধিবেশন বসে। এরপর সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর বিধি অনুসারে, ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দের ৯ এপ্রিল দেশ থেকে সামরিক আইন প্রত্যহার করা হয়। এর মধ্য দিয়ে বিএনপি পূর্ণাঙ্গরূপে বেসামরিক রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়।

১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দের ৩০শে মে-তে সংঘটিত একটি সামরিক অভ্যুত্থানে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জিয়াউর রহমান নিহত হন। এরপর তাঁকে ঢাকার শেরে-বাংলা নগরে সমাহিত করা হয়। এরপর তৎকালীন উপ-রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তার রাষ্ট্রপতি হন। পরে ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে রাষ্ট্রপতি সাত্তারকে সরিয়ে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রপতি হন। পরবর্তী প্রায় এক যুগ বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে থাকে।

গণ-আন্দোলনের মুখে, ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের ৬ ডিসেম্বর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ পদত্যাগে বাধ্য হন। পরে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে এবং সমর্থনে তিন দফা রূপরেখা অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিএনপির নেতৃত্ব দেন। এ নির্বাচনে বিএনপি (১৪২টি) সর্বাধিক আসনে জয়লাভ করে। তারা জামায়তে ইসলামীর সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে।

মূলত এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সামরিক শাসন মুক্ত হয়। বিনএপি সরকার পাঁচ বছর দেশ শাসনের পর ক্ষমতা হস্তান্তর ছাড়াই ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করে। এ নির্বাচন আওয়ামী লীগ বয়কট করায় একই বছর ১২ জুন অনুষ্ঠিত হয় সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত বিএনপি আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে। এ আন্দোলন তেমন সফল না হলেও ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে নির্বাচিত হয়।

২০০১ খ্রিষ্টাব্দে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে বিএনপি চারটি দল নিয়ে একটি ঐক্যজোট গঠন করে। এই ঐক্যজোটের দলগুলো ছিল— বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টি এবং ইসলামী ঐক্য)। এই নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্ব দেন খালেদা জিয়া। এই নির্বাচনে চারদলীয় ঐক্যজোট ২১০টি আসন লাভ করে।

২০০১ সালে নির্বাচনের পর বিএনপি মনোনয়নে দলের প্রথম মহাসচিব অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী দেশের রাষ্ট্রপতি হন। ছয় মাস রাষ্ট্রপতি থাকার পর বি. চৌধুরী, দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের সূত্রে পদত্যাগ করেন এবং বিএনপির একটি অংশ নিয়ে তিনি নতুন রাজনৈতিক দল 'বিকল্প ধারা' গঠন করেন। ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে অষ্টম জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হবার ঠিক আগের দিন বিএনপির প্রতিষ্ঠাদের একজন কর্ণেল (অব:) ড: অলি আহমেদ বীর বিক্রম, বিএনপি সরকারের কতিপয় নেতা কর্মী, মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের নিয়ে বিএনপি ত্যাগ করেন এবং অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর 'বিকল্প ধারা'র সাথে একীভূত হয়ে নতুন রাজনৈতিক দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি সংক্ষেপে এল.ডি.পি. গঠন করেন।

পরবর্তী পাঁচ বৎসরে নানা কারণে বিএনপির জনপ্রিয়তা অসম্ভব হ্রাস পায়। এই শাসনামলে চাপাইনবাবগঞ্জের কানসাট এ বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে ১০ জনের অধিক গ্রামবাসী মৃত্যবরণ করে। এছাড়া ঢাকার শনির আখড়ার বিদ্যুৎ ও পানির দাবিতে সাধারণ জনতার আন্দোলন, সরকারী ত্রাণ তাহবিল থেকে ত্রাণ সামগ্রী সরকারীদলের সাংসদদের লুটপাটের ঘটনা, বেগম খালেদা জিয়ার দুই পুত্রের দুর্নীতির কথা জনমনে ব্যাপকভাবে আলোড়ন তোলে। এ সরকারের বৈধ মেয়াদ ২০০৬ সালের ৬ অক্টোবর শেষ হওয়ার পর, ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে দেশে শুরু হয় ব্যাপক রাজনৈতিক সংঘাত। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি সারাদেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন। আর এ সময় থেকে গত ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় দুই বছর দেশ পরিচালনা করেন ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এ সরকারের তত্ত্বাবধানে ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩০ আসন নিয়ে জয়লাভ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এ নির্বাচনে মাত্র ২৯টি আসন পায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং ২৭টি আসনে জয়লাভ করে জাতীয় পার্টি।

২০০৭ খ্রিষ্টাব্দ থেকে সাবেক সংসদীয় হুইপ ও জেষ্ঠ্য নেতা খন্দকার দেলোয়ার হোসেন দলের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ম পালন করে আসছিলেন। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের মার্চে তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করার পর জেষ্ঠ্য যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দলের মহাসচিবের ভার দেয়া হয়। মির্জা ফখরুল বর্তমানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ম পালন করছেন।

২০১২ সালের ১৮ই এপ্রিল বিএনপি আরও রাজনৈতিক দলের সাথে হয়ে ১৮ দলীয় জোট গঠন করে। এই জোটে রয়েছে - জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, খেলাফত মজলিশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), কল্যাণ পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), বাংলাদেশ ন্যাপ, মুসলিম লীগ, ইসলামিক পার্টি, ন্যাপ ভাসানী, ডেমোক্রেটিক লীগ (ডিএল) ও পিপলস লীগ।

বিএনপির রাজনীতির মূল চারটি নীতি
এই দলের প্রধান নীতি হিসাবে গ্রহণ করা হয়, চারটি বিষয়কে গ্রহণ করা হয়। এগুলো হলো
১. সর্বশক্তিমান আল্লাহ্‌র উপর বিশ্বাস,
২. জাতীয়তাবাদ,
৩. গণতন্ত্র,
৪. সমাজতন্ত্র (অর্থনৈতিক ও সমাজিক ন্যায়বিচারের অর্থে)।

বিএনপি'র ঘোষণাপত্রে এ দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বিস্তৃতভাবে বর্ণিত হয়েছে। নিচে এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হলো (বিএনপির ওয়েব পৃষ্ঠা)

(ক) বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ-ভিত্তিক ইস্পাতকঠিন গণঐক্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা, রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা ও গণতন্ত্র সুরক্ষিত ও সুসংহত করা।
(খ) ঐক্যবদ্ধ এবং পুনরুজ্জীবিত জাতিকে অর্থনৈতিক স্বয়ম্ভরতার মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ, নয়া-উপনিবেশবাদ, আধিপত্যবাদ ও বহিরাক্রমণ থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করা।
(গ) উৎপাদনের রাজনীতি, মুক্তবাজার অর্থনীতি এবং জনগণের গণতন্ত্রের মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচারভিত্তিক মানবমুখী অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন।
(ঘ) জাতীয়তাবাদী ঐক্যের ভিত্তিতে গ্রামে-গঞ্জে জনগণকে সচেতন ও সুসংগঠিত করা এবং সার্বিক উন্নয়নমুখী পরিকল্পনা ও প্রকল্প রচনা ও বাস্-বায়নের ক্ষমতা ও দক্ষতা জনগণের হাতে পৌঁছে দেওয়া।
(ঙ) এমন এক সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করা যেখানে গণতন্ত্রের শিকড় সমাজের মৌলিক স্-রে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মনে দৃঢ়ভাবে প্রোথিত হয়।
(চ) এমন একটি সুস্পষ্ট ও স্থিতিশীল সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার নিশ্চিতি দেওয়া যার মাধ্যমে জনগণ নিজেরাই তাঁদের মানবিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতি আনতে পারবেন।
(ছ) বহুদলীয় রাজনীতির ভিত্তিতে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত একটি সংসদীয় পদ্ধতির সরকারের মাধ্যমে স্থিতিশীল গণতন্ত্র কায়েম করা এবং সুষম জাতীয় উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি আনয়ন।
(জ) গণতান্ত্রিক জীবন ধারা ও গণতান্ত্রিক বিধি ব্যবস্থার রক্ষাকবচ হিসাবে গণনির্বাচিত জাতীয় সংসদের ভিত্তি দৃঢ়ভাবে স্থাপন করা এবং জনগণের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করা।
(ঝ) রাজনৈতিক গোপন সংগঠনের তৎপরতা এবং কোন সশস্ত্র ক্যাডার, দল বা এজন্সী গঠনে অস্বীকৃতি জানানো ও তার বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করা।
(ঞ) জাতীয় জীবনে মানবমুখী সামাজিক মূল্যবোধের পুনরুজ্জীবন এবং সৃজনশীল উৎপাদনমুখী জীবনবোধ ফিরিয়ে আনা।
(ট) বাস্-বধর্মী কার্যকরী উন্নয়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জাতীয় জীবনে ন্যায়বিচার-ভিত্তিক সুষম অর্থনীতির প্রতিষ্ঠা, যাতে করে সকল বাংলাদেশী নাগরিক অন্ন, বস্ত্র, স্বাস্থ্য, বাসস্থান ও শিক্ষার ন্যূনতম মানবিক চাহিদা পূরণের সুযোগ পায়।
(ঠ) সার্বিক পল্লী উন্নয়ন কর্মসূচীকে অগ্রাধিকার দান করা ও সক্রিয় গণচেষ্টার মাধ্যমে গ্রাম বাংলার সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা।
(ড) নারী সমাজ ও যুব সম্প্রদায়সহ সকল জনসম্পদের সুষ্ঠু ও বাস্-বভিত্তিক সদ্ব্যবহার করা।
(ঢ) বাস্-বধর্মী অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ এবং সুসামঞ্জস্যপূর্ণ শ্রম ব্যবস্থাপনা সম্পর্ক স্থাপন এবং সুষ্ঠু শ্রমনীতির মাধ্যমে শিল্পক্ষেত্রে সর্বোচ্চ উৎপাদন নিশ্চিত করা।
(ণ) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, বাংলাদেশের সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও বাংলাদেশের ক্রীড়া সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও প্রসার সাধন।
(ত) বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশী জনগণের ধর্ম ইসলাম এবং অন্যান্য ধর্মীয় শিক্ষার সুযোগ দান করে বাংলাদেশের জনগণের যুগপ্রাচীন মানবিক মূল্যবোধ সংরক্ষণ করা, বিষে করে অনগ্রসর সম্প্রদায়ের জন্য শিক্ষা সম্প্রসারণ ও বৃহত্তর জাতীয় তাদের অধিকতর সুবিধা ও অংশগ্রহণের সুযোগের যথাযথ ব্যবস্থা করা।
(থ) পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে জোট নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে আন্-র্জাতিক বন্ধুত্ব, প্রীতি ও সমতা রক্ষা করা। সার্বভৌমত্ব ও সমতার ভিত্তিতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের সঙ্গে, তৃতীয় বিশ্বের মিত্র রাষ্ট্রসমূহের সাথে এবং ভ্রাতৃপ্রতিম মুসলিম রাষ্ট্রসমূহের সঙ্গে প্রীতি ও সখ্যতার সম্পর্ক সুসংহত এবং সুদৃঢ় করা।

Map of Bangladesh Nationalist Party বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল